শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ও আনন্দমার্গের বর্ষানুক্রমিক ইতিহাস (অসম্পূর্ণ)–
১৯২১ – বিহারের জামালপুরে ২১শে মে আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাতরঞ্জন সরকার তথা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্ম গ্রহণ করেন।
১৯৩৯ – শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী কলকাতার কাশীমিত্র ঘাটে শ্রাবণী পূর্ণিমার দিনে জ্যোৎস্নাপ্লাবিত গঙ্গাতীরে কুখ্যাত কালী ডাকাতকে (কালীচরণ ব্যানার্জি) প্রথম দীক্ষাদান করেন।
১৯৫৪ – শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী কর্তৃক সমবেত শিষ্যদের মধ্যে প্রথম ধর্মীয় প্রবচন প্রদান।
১৯৫৫ – ১লা জানুয়ারী আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৫৮ – Renaissance Universal (RU) প্রতিষ্ঠা।
১৯৫৯ – প্রগতিশীল ব্যবহারিক তত্ত্ব-এর উপর প্রথম আলোকপাত।
১৯৬২ – প্রথম অবধূত (সন্ন্যাস জীবনের সর্বোচ্চ স্তর) দীক্ষিত হন।
১৯৬৩ – Education, Relief and Welfare Section (ERAWS) প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৪ – Ananda Marga Board of Education প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৫ – Women's Welfare Department (WWD) এবং Ananda Marga Universal Relief Team (AMURT) প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৬ – আনন্দমার্গ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬৭ – বহির্ভারতে ধর্ম প্রচারের জন্য প্রথম সন্ন্যাসীর যাত্রা। ৫-ই মার্চ আনন্দনগরে কমিউনিস্টরা পাঁচজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীকে হত্যা করে।
১৯৭১ – বারাণসী ধর্মমহাচক্রে যাবার প্রাক্কালে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজীকে পাটনায় গ্রেপ্তার (মিথ্যা অজুহাত ও বলপূর্বক)।
১৯৭৩ – ১২ই ফেব্রুয়ারি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজীকে পাটনায় বাঁকীপুর কেন্দ্রীয় কারায় ওষুধের নামে বিষপ্রয়োগ করা হয়। ১লা এপ্রিল থেকে তিনি রেকর্ড সৃষ্টিকারী অনশন শুরু করেন।
১৯৭৮ – পাটনা হাইকোর্টের রায়ে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নির্দোষ প্রমাণিত হন। ৫ বৎসর ৪ মাস ২ দিন ব্যাপী ম্যারাথন অনশন করার পর ২রা আগস্ট জেল থেকে ছাড়া পান।
১৯৮২ – নব্যমানবতাবাদ (Neohumanism) দর্শন প্রদান। প্রভাত সঙ্গীত-এর রচনা শুরু। কলকাতার রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে ৩০শে এপ্রিল মার্কসবাদী কমিউনিস্টদের ভাড়াটে গুন্ডারা সংঘের ১৭ জন সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।
১৯৮৭ – শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জড় ও চেতনের সংযোগকারী সত্তা মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব দেন।
১৯৯০ – ৭-ই মে কলকাতা হাইকোর্ট তান্ডব নৃত্যকে আনন্দমার্গীদের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন হিসেবে মান্যতা দেন। ২১ অক্টোবর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজীর মহাপ্রয়াণ ঘটে।
১৯৯১ – UNO দ্বারা AMURT-কে আন্তর্জাতিক NGO-র স্বীকৃতি প্রদান।
১৯৯৬ – ভারতের সুপ্রিমকোর্ট আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন।
Comments
Post a Comment